নিজস্ব সংবাদদাতা ( খন্ডঘোষ ) : একে করোনা য় রক্ষে নেই আবার দোসর আমফান ! দুই এর সাঁড়াশি আক্রমণে দিশাহারা জনজীবন । প্রায় দুমাস ধরে গোটা দেশ ও রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন । অর্থনৈতিক অবস্থা বেহাল । দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম পরিস্থিতি । কর্মহীন অবস্থায় বহু মানুষ । রোজগারের পথ ও বন্ধ । ভিন রাজ্য থেকে আসছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । এই পরিস্থিতি র মধ্যে ঘূর্নিঝড় আমফান এর তান্ডবে " সর্বনাশ হয়ে গেছে " ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিশ্বের কাছে পুর্নগঠনের জন্য সহায়তা প্রদানের আবেদন করেছেন । একাধিক জেলা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্ৰস্থ । রাস্তা , বাঁধ , সেতু , পানীয় জলের ব্যবস্থা , বৈদ্যুতিক পরিষেবা সব ধ্বংস হয়ে গেছে । উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগণা য় ' সব শেষ ' - বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । মহানগরে ঝড়ের তান্ডব যে এই চেহারা নিতে পারে তা কেউ আন্দাজ করেননি । এলাকায় এলাকায় গাছ ভেঙে পড়েছে । বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন । কাঁচাবাড়ি ভেঙে গেছে , এমনকি প্রাণহানি ও ঘটেছে । যে ভয়াবহ পরিস্থতি তৈরী হয়েছে আগামী ১০-১২ দিন সময় লাগবে তা সম্পূর্ণ নথিভুক্ত করতে । বহু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
এদিকে রাজ্যের শস্যগোলা বর্ধমানে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি । বহু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে । গাছ পড়ে যোগাযোগ যেমন বন্ধ , তেমনি বন্ধ বিদ্যুৎ সরবরাহ । সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্তরা । অধিকাংশ ধানের জমি জলের তলায় চলে গেছে । জল থেকে ছেঁকে ধান খামারে তোলার চেষ্টা করছেন কৃষকরা । দক্ষিন দামোদর , কালনা , কাটোয়া সহ সব জায়গাতেই বিপন্ন চাষীরা । ধানের পাশাপাশি তিল , সব্জী চাষ ও ক্ষতির মুখে । একদিকে লকডাউন , অন্যদিকে এই ভয়াবহ বিপর্যয় মাথায় হাত চাষীদের । গ্ৰামীন এলাকায় ক্ষতির পরিমান আরো প্রকাশ্যে আসবে সময়ের হাত ধরে । কাঁচাবাড়ি ভেঙে আহত ও হয়েছেন বেশ কিছু মানুষ । প্রশাসনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ।